Feeds:
পোস্ট
মন্তব্য

Archive for অগাষ্ট, 2008

ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতা
সৌমিত্র দেব

ভ্রমণ অনেকে করে কিন্তুূূ তারা সকলে পর্যটক নন,আর সব পর্যটক লিখতে জানেন না। সে কারণে ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অনেক। সাংবাদিকতার পরিধি অনেক ব্যাপক। তথ্যের অধিকার এখন আর শুধু দাবী নয় , সংবিধানেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতার কথা আলোচনার আগে আমাদের দেখতে হবে এদেশে পর্যটন শিল্পের অবস্থাটি কি। ভ্রমণকারীদের সাধারণভাবে দুভাগে ভাগ করা যায়। তারা হলেন দর্শনার্থী ও অদর্শনার্থী। দর্শনার্থীদের পর্যটক শ্রেণীভূক্ত করা হলেও অদর্শনার্থীরা পর্যটক হিসেবে গ্রাহ্য হন না। পর্যটকেরা দেশী হতে পারেন আবার আন্তর্জাতিকও হতে পারেন। পর্যটনের দিক থেকে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক । এদেশে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে। সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্্রামে আছে পাহাড়। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার আমাদের দেশেই। সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের কথা কে না জানে ! সিডরের ছোবলকে বুকে নিয়ে যে বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ।

বা্গংালীর জাতির কৃষ্টি সংস্কৃতি তো আছেই , এমনকী আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও আকৃষ্ট করতে পারে পর্যটকদের। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বাংলাদেশের আটষট্টি হাজার গ্রাম হয়ে উঠতে পারে এক একটি পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু তবু বাংলাদেশ পর্যটনের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। এখানে পর্যটন বিকশিত হওয়ার অন্তরায় রচনা করেছে সরকারের অদূরদর্শী চিন্তা, দেশবাসীর সাংস্কৃতিক পশ্চাদপদতা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব। ভালো হোটেল মোটেল রাস্তা ঘাট এখনো সর্বত্র নির্মিত হয়নি। পর্যটকদেও নিরাপত্তার ব্যপারটিও এখনো ঊপেক্ষিত। নেপালের মত দেশে একজন নারী পর্যটক খোলামেলা পোষাকে ঘুরে বেড়ালেও সেটা সাধারণ মানুষকে কৌতুহলী করে তোলে না। কিন্তু আমাদের দেশে একজন পুরুষ পর্যটকও যেখানে সেখানে দর্শনীয় হয়ে ঊঠেন। দর্শনীয় স্থান যেমন পর্যটককে আকৃষ্ট করে তেমনি সেখানকার মানুষ ও তাদের জীবন যাত্রাও পর্যটকের কাছে গভীর আগ্রহের বস্তু। তারা সেখানে স্বস্তিদায়ক একটি পরিস্থিতি কামনা করে ।

পাশাপাশি তাদের বিনোদনের জন্য পানীয় এবং ক্যাসিনোর ব্যাবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। ইংরেজিতে একটি কথা চালু আছে Ñ ট্্র্যাভেলার ইজ আ পিওর কনজিউমার অর্থাৎ ভ্রমণকারীরাই পর্যটনের প্রধান নিয়ামক। কিন্তু দেখা গেছে বাংলাদেশ সরকারী ভাষ্যমত জিডিপির খুব কম শতাংশই লাভ করে এই পর্যটন খাত থেকে। বিশ্ব পর্যটনের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অবস্থান কোথায় ? ২০০০ সালের একটি পরিসংখ্যান দিয়ে ব্যাপারটি বোঝা যাবে । ২০০০ সালকে বেছে নেবার কারণ ঐ সময়কাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে পর্যটনের স্বাভাবিক গতিধারা বজায় ছিল এবং পর্যটন কার্যক্রমও স্বাভাবিক ছিল । পরবর্তীকালে ২০০৩ সালের প্রথমদিকে ইরাক যুদ্ধ, সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব , আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাস প্রভৃতি কারণে পর্যটন শিল্পের জন্য মহা বিপর্যয় নেমে এসেছে।

এখানে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে পর্যটন থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি পরিসংখ্যান দেখানো হলো : ছক: ১ বিশ্ব পর্যটনে উন্নত ৬টি দেশের অবস্থান দেশ পর্যটক আগমন (লক্ষ জন) পর্যটন থেকে আয় (কোটি টাকা) বিশ্ব বাজারে হিস্যা (শতাংশ) ফ্রান্স ৭৫০ ২,১০,০০০ ১৭.৬ আমেরিকা ৫৩০ ৫,০৪,০০০ ৬.৯ চীন ৩২০ ১,০২,০০০ ৩.৪ গ্রেট ব্রিটেন ২৫০ ১,২০,০০০ ৪.০ রাশিয়া ২১০ ৫৭,০০০ ১.৬ জার্মানি ১৯০ ১,১১,০০০ ৩.৬ ছক : ২ দ্বীপ ও নগর কেন্দ্রিক দেশের পর্যটন অবস্থান দেশ পর্যটক আগমন (লক্ষ জন) পর্যটন থেকে আয় (কোটি টাকা) উপমহাদেশের বাজারে হিস্যা (শতাংশ) হংকং ১৩১.০ ৮৭,৮৮০ ১৯.৭ সিঙ্গাপুর ৭০.০৯ ৩৯,৪২৮ ৮.০ ম্যাকাউ ৬৭.০ ১৮,৬০০ ৩.৩ পোর্টোরিকো ৩০.৩ ১৫,২৪৬ ১.৭ দুবাই ২৮.২৮ ৩,৯৬৯ ৬.২ মালদ্বীপ ৪.৬৫ ২,২৪৪ ৭.২ ছক : ৩ দক্ষিন এশিয়া তথা সার্কভুক্ত ছয়টি দেশের অঞ্চলভিত্তিক পর্যটন অবস্থান দেশ পর্যটক আগমন (লক্ষ জন) পর্যটন থেকে আয় (কোটি টাকা) উপমহাদেশের বাজারে হিস্যা (শতাংশ) ভারত ২৬.২৪ ১৯,৬৯৮ ৬৫.৮ নেপাল ৫.২৬ ১,১০৮ ৩.৬ মালদ্বীপ ৪.৬৫ ২,২২৪ ৭.২ পাকিস্তান ৪.৪ ৫২২ ১.৬ শ্্রীলংকা ৪.০ ১,৫১৮ ৬.০ বাংলাদেশ ১.৯ ২৬২ ০.৯৬ তিনটি ছকে দেওয়া

এই পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে সহজেই বোঝা যায় বিশ্ব পর্যটন তো দূরের কথা দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থা পর্যটনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নাজুক। তবে ধীর লয়ে হলেও এদেশে এখন পর্যটনের ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছ্ ে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে, প্রত্যন্ত এলাকাতেও উন্নতমানের হোটেল রিসোর্ট নির্মিত হচ্ছ্।ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আদান প্রদান বেড়েছে। বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে বিভিন্ন সীমান্তে বাস চলাচল শুরু হয়েছে ; রেল চলাচল শুরু হয়েছে। পর্যটনের ওপর রীতিমত পড়াশোনা করছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত ট্যুরিজম ও হোটেল ম্যানেজমেন্টের ওপর বিভাগ খোলা হয়েছে। এঅবস্থায় সহজেই অনুমান করা যায় পর্যটনের জন্য আগামীদিনে অনেক সুখবর অপেক্ষা করছে। ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য খুলে যাচ্ছে অনেক গুলি নতুন দিগন্ত। এবারের আলোচনা করা যাক ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতা। এককথায় একে প্রকাশ করা কঠিন। কারণ ভ্রমণ বিষয়ক লেখালেখি করতে গিয়ে লেখক বা সাংবাদিক অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন। মনে রাখতে হবে যে শুধূ লেখা নয় এধরনের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফ, স্পন্সর ও মার্কেটিংও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এ বিষয়ে কিছু পাঠকের জ্ঞাথার্থে এবিষয়ে কিছু আলোকপাত করা হলো। ভ্রমণ বিষয়ক লেখা তৈরির সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আর্টিকেল/ ফিচারটি যেন প্রাস্ঙ্গিক,ইন্টারেস্টিং, আনন্দদায়ক, তথ্যবহূল,উপকারী ও সরস হয়। লেখার মধ্যে পাঠককে বলার মত কিছু রসদ এবং গল্প থাকে। নির্দিষ্ট থিমকে ফোকাস করার মত মুন্সীয়ানা থাকাও জরুরী। ভ্রমণ বিষয়ক ভালো লেখা তৈরির কাজটি কোন কাকতলীয় বা দৈব ঘটনা নয়। সার্থক ভ্রমণ রচনা প্রকৃত পক্ষে লেখকের প্রখর ব্যক্তিত্ব, , অভিজ্ঞতা, রসবোধকেই প্রকাশ করে, স্থিরভাবে কিন্তু গুরুত্ব সহকারে পাঠককের সামনে কিছু তথ্যও তুলে ধরে। ভ্রমণকাহিনীটি পড়ার সময় পাঠক লেখকের সাথেই মানস ভ্রমণ করবেন ; তাই লেখক কে তার লেখার মধ্য দিয়ে নিজেকে একজন ই›াটরেস্টিং ও আনন্দদায়ী ভ্রমণ সংগী হিসাবে পাঠকের কাছে আর্কষণীয় হয়ে উঠতে হবে। পান্ডিত্য পূর্ন তত্ত্বীয় আলোচনা নয় বরং ফিচারটি হতে হবে প্রাসঙ্গিক ও সহজবোধ্য। ফটোগ্রাফ: প্রিন্ট মিডিয়া অত্যন্ত ভিজ্যূয়াল। লেখার চেয়েও অনেকসময় ছবিকে প্রধান্য দেওয়া হয়ে থাকে এবং এর জন্য অধিক পেমেন্ট দেওয়া হয়ে থাকে। আলোকচিত্র অনেকসময় এত বাঙময় ও হৃদয়গ্রাহী হয় যে আর্টিকেলের ভাষা ও মুন্সীয়ানাকে ছাপিয়ে যায় । তাই ভালো আলোকচিত্রর গুরুত্ব ও কম নয়।

আলোকচিত্রের মধ্যে দিয়েও পাঠক মানসচক্ষে অবোলকন করতে সক্ষম হন লেখকের ভ্রমণকৃত স্থানটি , ধারণা লাভ করতে পারেন ঐ স্থানটির স্থানীয় মানুষ সম্পর্কে ; অনুধাবন করতে সক্ষম হন তার ভৌগলিক অবস্থাও। এক কথায় অদেখা ও অচেনা ঐ স্থানটি চোখের সামনে মূর্ত হয়ে উঠতে পারে শুধু মাত্র একটি ভালো আলোকচিত্রের কারণে। তাই লেখার চেয়েও আলোকচিত্রের বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ন ট্্র্যাভেল জার্নালিজমে। ভালো আলোকচিত্র ছাড়া ভালো লেখাও অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। স্পন্সরশীপ: ভ্রমণ সাংবাদিকতার জন্য এয়ার লাইনন্স, ট্যুর অপারেটর ও পর্যটক কর্তৃপক্ষের স্পন্সর নিশ্চিত করা জরুরী। এদের পৃষ্টপোষকতা ব্যতীত ভ্রমণ সাংবাদিকতা অত্যন্ত অলাভজনক । সাংবাদিকতার এই শাখায় অনেক দক্ষ সাংবাদিকের অপমৃত্যু ঘটতে পারে এদের যথার্থ পৃষ্টপোষকতা পাওয়া না গেলে। অধিকাংশ সময় দেখা গেছে যে ভ্রমণ ব্যয় সাপেক্ষ বিষয়। ভ্রমণ পিপাসু অনেক সাংবাদিক – লেখক সর্বপ্রথমে এই ব্যয় এর কথা বিবেচনায় এনে ভ্রমনের আনন্দ থেকে নিজে কে বঞ্চিত রাখে । সহজেই ভ্রমণ করা যেতো এমন অনেক ভ্রমণের সুযোগ শুধু মাত্র এই কারণে নষ্ট হয়ে যেতে দেখা গেছে। অথচ আমাদের ক’ জনার পক্ষে বলা সম্ভব যে বিশ্বের কোন দর্শনীয় স্থানগুলি আমাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে? আমরা কোথায় কোথায় ভ্রমণে আগ্রহী? ভ্রমণ সাংবাদিক কে আগে ভ্রমণ – এর জন্য তার পছন্দের তালিকা তৈরি করতে হবে। ব্যয় এর কথা আপাতত: ভুলে গিয়ে নিজের হৃদয়ে কান পাততে হবে এবং ভ্রমণের জন্য নিজের আগ্রহ অনুযায়ী পছন্দসই সাম্ভাব্য ভ্রমণ স্থানের তালিকা তৈরি করতে হবে।

স্পন্সরশীপ- এর জন্য আবেদন করার সময় নিজস্ব বিশ্বাস ও ট্রিপের ব্যয় বাহূল্যও কথা ভুলে যেতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা ট্্িরপ পানিং প্রক্রিয়ায় একজন স্পন্সরের কাছে ব্যয় বিষয়ক ইস্যূটি সম্পূর্ণ অপ্রাসাংগিক। পৃষ্ঠপোষকতার স্বার্থে ট্্িরপটি কার্যকর করার বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে । শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্পন্সরকে আকৃষ্ট করার স্বার্থে তাদের চাহিদা কি তা খুজেঁ বের করার পাশাপাশি চুক্তির প্র¯া—বনা তৈরি করতে হবে ও পুরো প্রজেক্টটি বাস্তবায়নের পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। ফ্্িরল্যান্স সাংবাদিকরা ভালো প্রস্তাবনা উপস্থাপন করতে পারলে স্পন্সরের কাছ থেকে বড় ধরনের আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া অসম্ভব কিছূ নয়। সঠিকভাবে এই ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হলে নিজের ইচ্ছেমত পছন্দসই ট্্িরপ স্পন্সরের কাছেও গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে। এ পদ্ধতিতে কাজ করলে উভয়পক্ষই লাভবান হবে। মূল্যবান পৃষ্ঠপোষকতা নিরবিচ্ছিন্ন ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্্য্্রাভেল জার্নালিষ্টকে নিত্যনতুন আর্কষনীয় আইডিয়া উদ্ভাবক হতে হবে যা উভয়পক্ষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাবে সাম্ভাব্য পারস্পরিক স্বার্থে।এভাবে স্বতন্ত্র চিন্তাবিদ ও মার্কেটার হিসাবে একজন ফিল্যান্স ট্্রাভেল জার্নালিষ্ট – এর অবদান তার অনন মানসম্পন্ন লেখা ও ছবির সাথে সাথে মূল্যায়িত হতে শুরু হবে এবং স্পন্সরাও উৎসাহিত হয়ে উঠবে টাকা বিনিয়োগের জন্য। মার্কেটিং: একজন বড় মাপের লেখক বা ফটোগ্রাফার হয়েও বেশিদূর যেতে পারবেন না যদি নিজের কাজের যথাযথ ও সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে ব্যর্থ হন। অর্থাৎ ভালো লেখক ও ফটোগ্রাফার হওয়া সত্ত্বেও যদি সুষ্ঠুভাবে মার্কের্টি ং করা না যায় তবে একজন ট্্র্যাভেল জার্নালিষ্টের কাজের কোন মূল্যই থাকবে না। মার্কেটিংকে কোন বিরক্তিকর কাজ হিসাবে গণ্য করা ঠিক নয়। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অধিক কার্যকর ও একই সােেথ বহুবিধ উদ্ভাবনী চিন্তা ও লেখার সমন্বয় ঘটিয়ে একে আরো উপভোগ্য ও প্রাণবন্ত করে তোলা সম্ভব। নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। চলতি লেখার প্যাকেজ ও আর্কাইভের লেখা সমূহ বার বার পড়তে হবে। যেসব লেখা প্রচারের বাইরে রয়ে গেছে সেগুলি বিদেশে অধিকমাত্রায় বিক্রয়ের জন্য প্রয়াস নিতে হবে। সূত্র : বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অন্তরায় এবং উওরণ – মো: জামিউল আহমেদ জামিল

Read Full Post »

রোমাঞ্চকর টেকনাফ গেমরিজার্ভ

এম. আহসানুল হক খোকন

ভার ৪ টায় হোটেল সিক্রাউন, কক্সবাজার হতে মাইক্রোবাস যোগে দলনেতা ড: মনিরুল, শফিকভাই, মুস্তাফিজ, রিপন, শিহাব, সামিউল ও আমি টেকনাফ গেমরিজার্ভের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মাইক্রোবাসের হেডলাইটের আলোয় নির্জনতা ভেঙ্গে আঁধার কেটে মাত্র ৫৫ মিনিটে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পেরুনো গেল। জুলাই মাস বিধায় আকাশের মুখ ভার। পুঁটিবুুনিয়া গ্রামে পৌঁছে কয়েকজন গাইড সহ সকাল ৬ টার মধ্যেই টেকনাফ গেমরিজাভের তৈঙ্গা পাহাড়ের পথে নিসর্গ সাপোর্ট প্রোগ্রামের পাখি শুমারী ও ফিল্ড মনিটরিং জন্য রওনা হলাম। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ের গাছগাছালী গাঢ় সবুজ রং ধারণ করেছে। গাছে গাছে ফুল ফলের সমাহার, পাখিদের কলতান সব মিলে স্বপ্নিল পরিবেশ। এর মধ্যে বুনো অশোক ও জারুল ফুলের রং আমার মন কাড়লো। প্রায় ৩ ঘন্টা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তৈঙ্গা পাহাড়ে পৌঁছুলাম। পথে ছোট কানাকুবো (খবংংবৎ ঈড়ঁপধষ ), মদনা টিয়া ( জবফ-নৎবংঃবফ চধৎধশববঃ ), নীলকান বসন্তবৌরী ( ইষঁব ণবধৎবফ ইধৎনবঃ ), বড়হলদেঝুঁটি কাঠকুড়ালী ( এৎবধঃবৎ ণবষষড়ি ঘধঢ়ঢ়বফ ), এশীয় দাগি কুঁটি পেঁচা ( অংরধহ ইধৎৎবফ ঙষিবঃ ), সোনাকপালী হরবলা ( এড়ষফবহ ঋৎড়হঃবফ খবধভ ইরৎফ ), নীলশিলাদামা ( ইষঁব জড়পশ ঞযৎঁংয ), বনমুরগী ( জবফ ঔঁহমষব ঋড়ষি ), র‌্যাকেটফিঙ্গে ( জধপশবঃ ঞধরষবফ উৎড়হমড় ), কালাঝুঁটি বুলবুলি ( ইষধপশ ঈৎবংঃবফ ইঁষনঁষ ), কালামাথা বুলবুলি ( ইষধপশ ঐবধফবফ ইঁষনঁষ ), কালাগলা টাুনটুনী ( উধৎশহবপশবফ ঞধরষড়ৎ ইরৎফ ), গলাফোলা ছাতারে ( চঁভভ ঃযৎড়ধঃবফ ইধননষবৎ ), লালডানা ঝাঁড়ভরত ( জঁভড়ঁং-রিহমবফ ইঁংযখধৎশ ), সিঁদুরপীঠ ফ’লঝ’রি ( ঝপধৎষবঃ-নধপশবফ ঋষড়বিৎঢ়বপশবৎ ), লালমৌটুসী ( ঈৎরসংড়হ ঝঁহনরৎফ ) প্রভৃতি পাখি দেখা গেল। তৈঙ্গাপাহাড়ের চূঁড়া থেকে দূরে সুনীল বঙ্গপোসাগর, শীলখালী গর্জন বন, নাফ চ্যানেল, মায়ানমার পাহড়শ্রেণী অবলোকন করে মনজুড়িয়ে গেল। বিশ্রামের সময় গাইডদের সংগৃহীত বুনোআম, ঢাকিজাম এর স্বাদ আস্বাদন করে সকল ক্লান্তি ভুলে গেলাম।

ঠিক এমন সময় নিকটতম পাহাড়ের ঢালে বুনো হাতীর দলে ৬টি কে দেখে আমরা নিশ্চুপে ক্যমেরার ও ভিডিও ক্যামেরার সাটার চেপে ব্যস্ত সময় আতিবাহিত করলাম। এ এক অসাধারণ দৃশ্য! প্রায় ঘন্টা খানেক সময় কাটিয়ে রওনা হবার প্রাক্কালে গ্রুপ ফটো সেশন করা হলো। ঝিরি পথে উৎরাই পথে নামার পরিকল্পনা করতেই তাকিয়ে দেখি আকাশে ঘনকালো মেঘের ঘনঘটা! দ্রুত নামার চেষ্টা করেও কিছুদুর অগ্রসর হতেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পথ চরম পিচ্ছিল ও বিপদজনক হয়ে উঠলো। ভুলে পা পিছলে গেলেই প্রায় ৭০০ ফুট গভীর গিরিখাদে পড়ে মৃত্যু অনিবার্য! এছাড়া শতশত জোঁক কিলবিল করে শরীরে উঠতে শুরু করলো। ফলে ইচ্ছা সত্তেও দাঁড়িয়ে থাকা গেল না বরং বিপদজনক ভাবে নামতে থাকলাম। ট্রেকিং পথ নিচিহ্ন হওয়ায় দিকভ্রম হলাম। অগত্যা তৈঙ্গা ঝর্ণার কাছে পৌঁছুনো গেলেও পাহাড়ী ঢলে ঝিরিপথ ভয়ংকর রকমের খরস্রোতা রূপ নিলো। সাথে পাহাড় ধ্বসে বিশালাকার বোল্ডার গড়িয়ে পড়ায় মৃত্যুর আশংকা! মৃত্যুভয় পেয়ে বসায় ক্যামেরা সরঞ্জাম ভিজে নষ্ট হলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার অবকাশ নাই । ঝর্ণার পাশে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও আচমকা প্রচন্ড পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় আমরা ভেসে যাবার যোগাড় ! কোনমতে গাছের ডালপালা ধরে রক্ষা পাওয়া গেল। প্রায় ২ঘন্টা প্রাণান্তকর অপেক্ষার পর বৃষ্টি কমলে ধীরেধীরে খরস্রোতা ঝিরিপথে অগ্রসর হতে শুরু করে আরো ৫ ঘন্টা পর বিকাল ৫টা নাগাদ পুঁটিবিলা গ্রামে আমাদের মাইক্রোবাসের সন্নিকটে পৌছে দেখি সকলের শরীর জোঁকের আক্রমণে রক্তাত্ত!

একটু বিশ্রাম নিয়েই সন্ধ্যার মধ্যে হেটেলে পৌঁছুলাম। রাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে ফেরার পথে বিগত কয়েকদিনের টেকনাফ গেমরিজার্ভে র মনোমুগ্ধকর এ্যাডভেঞ্চারের স্মৃতি নিয়ে তন্দ্রালোকে স্বপ্নের দেশে চলে গেলাম। তথ্য কণিকা ঃ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা টেকনাফের অর্ন্তগত সংরক্ষিত বন টেকনাফ গেমরিজার্ভ নামে পরিচিত। কক্সবাজার হতে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং টেকনাফ হতে উত্তর দিকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে এই গেম রিজার্ভের অবস্থান। সংরক্ষিত এ বনের ভূ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র এক কথায় অনন্য। সবুজ এই পাহাড়ী অঞ্চলে ভঙ্গিল পর্বতের নমুনা, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক ঝর্ণা, উষ্ণমন্ডলীয় চিরসবুজ বন পর্যটকবৃন্দকে রোমাঞ্চের বহুবিধ স্বাদ উপভোগের সুযোগ করে দেবে। এই গেম রিজার্ভের মধ্যবর্তী স্থানে লম্বা ও সরু পাহাড়ের শ্রেণী দক্ষিণ দিক হতে উত্তরে বি¯তৃত। গেম রিজার্ভের সর্বোচ্চ চূড়া “তৈঙ্গা” নামে পরিচিত। তৈঙ্গা পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে প্রায় ১০০০ ফুট। ১৯৮৩ সনে এই সংরক্ষিত গেম রিজার্ভ ঘোষিত হয়। এই গেম রিজার্ভের আয়তন ১১,৬১৫ হেক্টর। বি¯তৃত এই গেম রিজার্ভের রোমাঞ্চকর স্পট গুলোর মধ্যে নাইটং পাহাড়, তৈঙ্গা পাহাড়, তৈঙ্গা ঝর্ণা, কুদুম গুহা অন্যতম। টেকনাফ গেমরিজার্ভ ইকোটুরিজমের অন্যতম আকর্ষণ সমূহ নি¤েœ বর্ণিত হলো – জীব বৈচিত্র ঃ এই গেম রিজার্ভ দেশের সর্বোচ্চ জীববৈচিত্রপূর্ণ। বিশেষজ্ঞ জরীপে এখানে প্রায় ৩০০ প্রজাতির বৃক্ষরাজি, ২৮৬ প্রজাতির পাখি, ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৩ প্রজাতির উভচর, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ পাওয়া গেছে। বুনোহাতীর সবচেয়ে বড় দলটি ( ১৬ টি ) এই গেমরিজার্ভে অবস্থান করে যা দেশের মোট হাতীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এছাড়া বনে বিলুপ্তপ্রায় বুনোকুকুর, উল ুক, সাম্বার হরিণ, উডুক্ক কাঠবিড়ালী, শজারু প্রভৃতি প্রাণীর দেখা মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।১৯৮২ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগ পরিচালিত জরীপে দূর্লভ প্রজাতির ষ্ট্যাম্প টেইলড্ ম্যাকাক বা খাটো লেজী বান্দর দেখার রেকর্ড রয়েছে। নাইটং পাহাড় ঃ টেকনাফ শহরের ঠিক পাশেই নাইটং পাহাড়ের অবস্থান । প্রায় ৭০০ ফুট এই পাহাড়ে উঠতে ঘন্টাখানেক সময় লাগবে।

কষ্ট করে উপরে উঠলে পুরো টকনাফ শহর, দূরে বঙ্গপোসাগর, নাফচ্যানেল, মিয়ানমার পাহাড় শ্রেণী, শীলখালী প্রাকৃতিক গর্জনবন, টেকনাফ গেমরিজার্ভের সবুজ পাহাড়শ্রেণী প্রাণ ভরে উপভোগ করার দূর্লভ সুযোগ মিলবে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে বুনো হাতীর দলটির সাক্ষাৎ পেতেও পারেন। তবে হাতী দেখতে সতর্ক থাকুন কেননা এই বুনো হাতীর দল বিরক্ত হলে মানুষ মারতে দ্বিধাবোধ করে না! সতর্কতা হিসেবে সাথে অবশ্যই প্রশিক্ষিত গাইড নিতে হবে। কুঠি বা ভঙ্গিল পাহাড় ঃ বিশেষজ্ঞ গণের মতে অতীতে এই পাহাড় শ্রেণী বঙ্গোপসাগরের তলদেশ ছিল। লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের ফল বর্তমানের এই অবস্থা। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এই কুঠির শিলাস্তরে শামুক-ঝিনুকের জীবাø বা ফসিল এবং সল্টক্রীক বা লবণাধার। কুঠির সল্টক্রীক বুনো প্রাণীর লবণের অভাব মেটায়। রাতে বুনোপ্রাণী সল্টক্রীক চেঁটে শরীরে লবনের চাহিদা পূরণ করে। তৈঙ্গা ঝর্ণা ও ঝিরি ঃ কুঠির আনুমানিক ২০০ ফুট পশ্চিমে প্রবাহিত তৈঙ্গাঝিরি। ঝিরির পানি স্ফটিক স্বচ্ছ এবং জলজপ্রাণী বৈচিত্রে ভরপুর। প্রায় ৭০০ ফুট উচ্চতা থেকে শিলাময় পাহাড়ের ধাপে ধাপে এই ঝর্ণা ক্রমান্বয়ে ঝিরি ধরে প্রবাহিত হয়েছে। ঝিরির পানি বন্য প্রাণীদের জলের প্রয়োজন মেটায়। তৈঙ্গা চূড়া ঃ গেম রিজার্ভের অন্যতম আকর্ষণ হলো তৈঙ্গা চুড়া। এ চুঁড়া অত্যন্ত খাড়া এবং ট্রেকারদের জন্য আদর্শ। তৈঙ্গা চূঁড়া হতে দূরে বঙ্গোপসাগর, নাফনদী, মায়ানমার সীমানার পাহাড় শ্রেণী এবং গেম রিজার্ভের এরিয়েল ভিউ অবলোকন বাস্তবেই এক অপার্থিব অনুভূতি। কুদুম গুহা ঃ হোয়াইক্যং বাজার হতে শাপলাপুর অভিমূখে ৪ কিলোমিটার যাবার পর বাম দিকে পাহাড়ী ঝিরিপথ ধরে আরো ২ কিলোমিটার অগ্রসর হলে রোমাঞ্চকর এই গুহায় পৌঁছুনো যাবে। আনুমানিক ৫০০ দীর্ঘ এই গুহায় প্রবেশ করতে হলে হাঁটু জল কাঁদা মাড়িয়ে ভ্যাপসা গন্ধ উপেক্ষা করে যেতে গা ছমছম করা আঁধারে চামচিকাদের কিচিরমিচির ডাক ও ইতস্তত: উড়াউড়ি এবং পানিতে নানা জাতের মাছের আনাগোনা হৃদযে শিহরণ জাগাবে। সাথে হেডলাইট ও আত্মরক্ষামূলক লাঠি অবশ্যই নিতে ভুলবেন না যেন। কারণ এই গুহায় পাহাড়ী অজগর চামচিকা শিকারের জন্য আসে।

চাকমা গ্রাম ঃ কুদুম গুহার ধারে কাছেই ডইঙ্গাকাটা গ্রামে চাকমা সম্প্রদায়ের বসবাস। নিসর্গ সাপোর্ট প্রোগ্রামের গাইডের সহায়তায় পাড়াপ্রধানের অনুমতি নিয়ে চাকমা সম্প্রদায়ের কৃষ্টি কালচার প্রত্যক্ষ করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। শীলখালী প্রাকৃতিক গর্জনবন ঃ টেকনাফ গেমরিজার্ভের সবুজ পাহাড়শ্রেণী ও সুনীল বঙ্গপোসাগরের মাঝে শতবছরের পুরনো এই প্রাকৃতিক গর্জনবন ভ্রমণের স্মৃতি বনানী প্রেমিক পর্যটকের মনে নিশ্চিত অমøান থাকবে। বনে নানা পাখির কাকলী, উত্তাল সাগরের প্রমত্তা ঢেউয়েরশব্দে মন আক’ল হবে। পাখিপ্রেমিকদের জন্য স্থানটি আদর্শ। ভ্রমণের সেরা সময় ঃ অক্টোবর মাস থেকে ফেব্র“য়ারী মাস অবধি এই এলাকা ভ্রমণের সেরা সময়। মার্চ-এপ্রিল মাসে পাহাড়ের গাছ গাছালী মারা যাওয়ায় সব ন্যড়া হয়ে যায় এবং ঝিরির পানি ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হতে থাকে। এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটক জুন-জুলাই মাসের সবুজ পাহাড়, সতেজ ঝিড়ি-ঝর্ণা দেখে আসতে পারেন। যাতায়াত ঃ ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিমান অথবা বাসে। সেখান থেকে ননষ্টপ টেকনাফগামী বাসে হ্নীলা বাজার। হ্নীলা বাজার থেকে তৈঙ্গাপাহাড় অভিমূখে ট্রেকিং। এসি বাস ঃ ঢাকা হতে কক্সবাজার যেতে যোগাযোগ করতে পারেন গ্রীণলাইন (৯৩৩৯৬২৩, ৯৩৪২৫৮০) সোহাগ পরিবহণ (ফোন ঃ৯৩৩১৬০০, ৭১০০৪২২), সিল্ক লাইন (ফোন ৭১০২৪৬১, ৮১০৩৮২) ভাড়া ৬৫০/- টাকা হতে ৮৫০/- নন এসি বাস ঃ এই রুটে নন এসি বাসে যেতে যোগাযোগ করতে পারেন এস. আলম (ফোন ৯৩৩১৮৬৪, ৮৩১৫০৮৭) আবাসন ঃ ধারে কাছে হ্নীলা বাজার সাধারণ মানের হোটেল। ভাড়া ১৫০/- টাকা হতে ২০০/- টাকা প্রতিরাত। টেকনাফ শহরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল ভাড়া ৫০০/- টাকা হতে ১২৫০/- টাকা। এছাড়া টেকনাফ শহরে সাধারণ মানের একাধিক হোটেল পাওয়া যাবে ২৫০/- টাকা হতে ৫০০/- টাকার মধ্যে। গাইড ঃ টেকনাফ গেমরিজার্ভ ভ্রমণের সময় প্রশিক্ষিত গাইড সাথে নেয়া আবশ্যক। নিসর্গ সাপোর্ট প্রোগ্রাম এই এলাকায় ইকোট্যুরিজম ইনফ্রাসট্রাকচার তৈরিতে নির্জনে কাজ করে চলেছে। হ্নীলা বাজারের কাছে কক্সবাজার – টেকনাফ রোডের পাশে নিসর্গ অফিসে গাইডের খোঁজ করা যেতে পারে। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন ঃ কমিউনিকেশন স্পেশালিষ্ট, এন,এস,পি, বাড়ী-৬৮, সড়ক-১, ব ক-আই, বনানী, ঢাকা। ফোন ৯৮৭৩২২৯, ইমেল সবযৎরহ@রৎম.পড়স, ওয়েব : িি.িহরংযড়ৎমড়.ড়ৎম ফটো বিবরণ : টেকনাফ গেমরিজার্ভের দৃশ্য টেকনাফ গেমরিজার্ভ থেকে নাফ চ্যানেলের দৃশ্য কালাঝুঁটি বুলবুল হরবোলা পাখি টেকনাফ গেমরিজার্ভের হাতী বুনো অশোক তৈঙ্গা ঝর্ণা লাল মৌটুসী কালাঘাড় টুনটুনী কুদুম গুহা বুনো ফল হাতী থেকে রক্ষা পাবার জন্য মাচাঘর। মদনা টিয়ার বাসা

Read Full Post »