ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতা
সৌমিত্র দেব
ভ্রমণ অনেকে করে কিন্তুূূ তারা সকলে পর্যটক নন,আর সব পর্যটক লিখতে জানেন না। সে কারণে ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অনেক। সাংবাদিকতার পরিধি অনেক ব্যাপক। তথ্যের অধিকার এখন আর শুধু দাবী নয় , সংবিধানেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতার কথা আলোচনার আগে আমাদের দেখতে হবে এদেশে পর্যটন শিল্পের অবস্থাটি কি। ভ্রমণকারীদের সাধারণভাবে দুভাগে ভাগ করা যায়। তারা হলেন দর্শনার্থী ও অদর্শনার্থী। দর্শনার্থীদের পর্যটক শ্রেণীভূক্ত করা হলেও অদর্শনার্থীরা পর্যটক হিসেবে গ্রাহ্য হন না। পর্যটকেরা দেশী হতে পারেন আবার আন্তর্জাতিকও হতে পারেন। পর্যটনের দিক থেকে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক । এদেশে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে। সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্্রামে আছে পাহাড়। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার আমাদের দেশেই। সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের কথা কে না জানে ! সিডরের ছোবলকে বুকে নিয়ে যে বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ।
বা্গংালীর জাতির কৃষ্টি সংস্কৃতি তো আছেই , এমনকী আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও আকৃষ্ট করতে পারে পর্যটকদের। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বাংলাদেশের আটষট্টি হাজার গ্রাম হয়ে উঠতে পারে এক একটি পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু তবু বাংলাদেশ পর্যটনের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। এখানে পর্যটন বিকশিত হওয়ার অন্তরায় রচনা করেছে সরকারের অদূরদর্শী চিন্তা, দেশবাসীর সাংস্কৃতিক পশ্চাদপদতা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব। ভালো হোটেল মোটেল রাস্তা ঘাট এখনো সর্বত্র নির্মিত হয়নি। পর্যটকদেও নিরাপত্তার ব্যপারটিও এখনো ঊপেক্ষিত। নেপালের মত দেশে একজন নারী পর্যটক খোলামেলা পোষাকে ঘুরে বেড়ালেও সেটা সাধারণ মানুষকে কৌতুহলী করে তোলে না। কিন্তু আমাদের দেশে একজন পুরুষ পর্যটকও যেখানে সেখানে দর্শনীয় হয়ে ঊঠেন। দর্শনীয় স্থান যেমন পর্যটককে আকৃষ্ট করে তেমনি সেখানকার মানুষ ও তাদের জীবন যাত্রাও পর্যটকের কাছে গভীর আগ্রহের বস্তু। তারা সেখানে স্বস্তিদায়ক একটি পরিস্থিতি কামনা করে ।
পাশাপাশি তাদের বিনোদনের জন্য পানীয় এবং ক্যাসিনোর ব্যাবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। ইংরেজিতে একটি কথা চালু আছে Ñ ট্্র্যাভেলার ইজ আ পিওর কনজিউমার অর্থাৎ ভ্রমণকারীরাই পর্যটনের প্রধান নিয়ামক। কিন্তু দেখা গেছে বাংলাদেশ সরকারী ভাষ্যমত জিডিপির খুব কম শতাংশই লাভ করে এই পর্যটন খাত থেকে। বিশ্ব পর্যটনের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অবস্থান কোথায় ? ২০০০ সালের একটি পরিসংখ্যান দিয়ে ব্যাপারটি বোঝা যাবে । ২০০০ সালকে বেছে নেবার কারণ ঐ সময়কাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে পর্যটনের স্বাভাবিক গতিধারা বজায় ছিল এবং পর্যটন কার্যক্রমও স্বাভাবিক ছিল । পরবর্তীকালে ২০০৩ সালের প্রথমদিকে ইরাক যুদ্ধ, সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব , আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাস প্রভৃতি কারণে পর্যটন শিল্পের জন্য মহা বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এখানে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে পর্যটন থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি পরিসংখ্যান দেখানো হলো : ছক: ১ বিশ্ব পর্যটনে উন্নত ৬টি দেশের অবস্থান দেশ পর্যটক আগমন (লক্ষ জন) পর্যটন থেকে আয় (কোটি টাকা) বিশ্ব বাজারে হিস্যা (শতাংশ) ফ্রান্স ৭৫০ ২,১০,০০০ ১৭.৬ আমেরিকা ৫৩০ ৫,০৪,০০০ ৬.৯ চীন ৩২০ ১,০২,০০০ ৩.৪ গ্রেট ব্রিটেন ২৫০ ১,২০,০০০ ৪.০ রাশিয়া ২১০ ৫৭,০০০ ১.৬ জার্মানি ১৯০ ১,১১,০০০ ৩.৬ ছক : ২ দ্বীপ ও নগর কেন্দ্রিক দেশের পর্যটন অবস্থান দেশ পর্যটক আগমন (লক্ষ জন) পর্যটন থেকে আয় (কোটি টাকা) উপমহাদেশের বাজারে হিস্যা (শতাংশ) হংকং ১৩১.০ ৮৭,৮৮০ ১৯.৭ সিঙ্গাপুর ৭০.০৯ ৩৯,৪২৮ ৮.০ ম্যাকাউ ৬৭.০ ১৮,৬০০ ৩.৩ পোর্টোরিকো ৩০.৩ ১৫,২৪৬ ১.৭ দুবাই ২৮.২৮ ৩,৯৬৯ ৬.২ মালদ্বীপ ৪.৬৫ ২,২৪৪ ৭.২ ছক : ৩ দক্ষিন এশিয়া তথা সার্কভুক্ত ছয়টি দেশের অঞ্চলভিত্তিক পর্যটন অবস্থান দেশ পর্যটক আগমন (লক্ষ জন) পর্যটন থেকে আয় (কোটি টাকা) উপমহাদেশের বাজারে হিস্যা (শতাংশ) ভারত ২৬.২৪ ১৯,৬৯৮ ৬৫.৮ নেপাল ৫.২৬ ১,১০৮ ৩.৬ মালদ্বীপ ৪.৬৫ ২,২২৪ ৭.২ পাকিস্তান ৪.৪ ৫২২ ১.৬ শ্্রীলংকা ৪.০ ১,৫১৮ ৬.০ বাংলাদেশ ১.৯ ২৬২ ০.৯৬ তিনটি ছকে দেওয়া
এই পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে সহজেই বোঝা যায় বিশ্ব পর্যটন তো দূরের কথা দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থা পর্যটনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নাজুক। তবে ধীর লয়ে হলেও এদেশে এখন পর্যটনের ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছ্ ে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে, প্রত্যন্ত এলাকাতেও উন্নতমানের হোটেল রিসোর্ট নির্মিত হচ্ছ্।ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আদান প্রদান বেড়েছে। বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে বিভিন্ন সীমান্তে বাস চলাচল শুরু হয়েছে ; রেল চলাচল শুরু হয়েছে। পর্যটনের ওপর রীতিমত পড়াশোনা করছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত ট্যুরিজম ও হোটেল ম্যানেজমেন্টের ওপর বিভাগ খোলা হয়েছে। এঅবস্থায় সহজেই অনুমান করা যায় পর্যটনের জন্য আগামীদিনে অনেক সুখবর অপেক্ষা করছে। ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য খুলে যাচ্ছে অনেক গুলি নতুন দিগন্ত। এবারের আলোচনা করা যাক ভ্রমণ বিষয়ক সাংবাদিকতা। এককথায় একে প্রকাশ করা কঠিন। কারণ ভ্রমণ বিষয়ক লেখালেখি করতে গিয়ে লেখক বা সাংবাদিক অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন। মনে রাখতে হবে যে শুধূ লেখা নয় এধরনের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফ, স্পন্সর ও মার্কেটিংও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এ বিষয়ে কিছু পাঠকের জ্ঞাথার্থে এবিষয়ে কিছু আলোকপাত করা হলো। ভ্রমণ বিষয়ক লেখা তৈরির সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আর্টিকেল/ ফিচারটি যেন প্রাস্ঙ্গিক,ইন্টারেস্টিং, আনন্দদায়ক, তথ্যবহূল,উপকারী ও সরস হয়। লেখার মধ্যে পাঠককে বলার মত কিছু রসদ এবং গল্প থাকে। নির্দিষ্ট থিমকে ফোকাস করার মত মুন্সীয়ানা থাকাও জরুরী। ভ্রমণ বিষয়ক ভালো লেখা তৈরির কাজটি কোন কাকতলীয় বা দৈব ঘটনা নয়। সার্থক ভ্রমণ রচনা প্রকৃত পক্ষে লেখকের প্রখর ব্যক্তিত্ব, , অভিজ্ঞতা, রসবোধকেই প্রকাশ করে, স্থিরভাবে কিন্তু গুরুত্ব সহকারে পাঠককের সামনে কিছু তথ্যও তুলে ধরে। ভ্রমণকাহিনীটি পড়ার সময় পাঠক লেখকের সাথেই মানস ভ্রমণ করবেন ; তাই লেখক কে তার লেখার মধ্য দিয়ে নিজেকে একজন ই›াটরেস্টিং ও আনন্দদায়ী ভ্রমণ সংগী হিসাবে পাঠকের কাছে আর্কষণীয় হয়ে উঠতে হবে। পান্ডিত্য পূর্ন তত্ত্বীয় আলোচনা নয় বরং ফিচারটি হতে হবে প্রাসঙ্গিক ও সহজবোধ্য। ফটোগ্রাফ: প্রিন্ট মিডিয়া অত্যন্ত ভিজ্যূয়াল। লেখার চেয়েও অনেকসময় ছবিকে প্রধান্য দেওয়া হয়ে থাকে এবং এর জন্য অধিক পেমেন্ট দেওয়া হয়ে থাকে। আলোকচিত্র অনেকসময় এত বাঙময় ও হৃদয়গ্রাহী হয় যে আর্টিকেলের ভাষা ও মুন্সীয়ানাকে ছাপিয়ে যায় । তাই ভালো আলোকচিত্রর গুরুত্ব ও কম নয়।
আলোকচিত্রের মধ্যে দিয়েও পাঠক মানসচক্ষে অবোলকন করতে সক্ষম হন লেখকের ভ্রমণকৃত স্থানটি , ধারণা লাভ করতে পারেন ঐ স্থানটির স্থানীয় মানুষ সম্পর্কে ; অনুধাবন করতে সক্ষম হন তার ভৌগলিক অবস্থাও। এক কথায় অদেখা ও অচেনা ঐ স্থানটি চোখের সামনে মূর্ত হয়ে উঠতে পারে শুধু মাত্র একটি ভালো আলোকচিত্রের কারণে। তাই লেখার চেয়েও আলোকচিত্রের বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ন ট্্র্যাভেল জার্নালিজমে। ভালো আলোকচিত্র ছাড়া ভালো লেখাও অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। স্পন্সরশীপ: ভ্রমণ সাংবাদিকতার জন্য এয়ার লাইনন্স, ট্যুর অপারেটর ও পর্যটক কর্তৃপক্ষের স্পন্সর নিশ্চিত করা জরুরী। এদের পৃষ্টপোষকতা ব্যতীত ভ্রমণ সাংবাদিকতা অত্যন্ত অলাভজনক । সাংবাদিকতার এই শাখায় অনেক দক্ষ সাংবাদিকের অপমৃত্যু ঘটতে পারে এদের যথার্থ পৃষ্টপোষকতা পাওয়া না গেলে। অধিকাংশ সময় দেখা গেছে যে ভ্রমণ ব্যয় সাপেক্ষ বিষয়। ভ্রমণ পিপাসু অনেক সাংবাদিক – লেখক সর্বপ্রথমে এই ব্যয় এর কথা বিবেচনায় এনে ভ্রমনের আনন্দ থেকে নিজে কে বঞ্চিত রাখে । সহজেই ভ্রমণ করা যেতো এমন অনেক ভ্রমণের সুযোগ শুধু মাত্র এই কারণে নষ্ট হয়ে যেতে দেখা গেছে। অথচ আমাদের ক’ জনার পক্ষে বলা সম্ভব যে বিশ্বের কোন দর্শনীয় স্থানগুলি আমাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে? আমরা কোথায় কোথায় ভ্রমণে আগ্রহী? ভ্রমণ সাংবাদিক কে আগে ভ্রমণ – এর জন্য তার পছন্দের তালিকা তৈরি করতে হবে। ব্যয় এর কথা আপাতত: ভুলে গিয়ে নিজের হৃদয়ে কান পাততে হবে এবং ভ্রমণের জন্য নিজের আগ্রহ অনুযায়ী পছন্দসই সাম্ভাব্য ভ্রমণ স্থানের তালিকা তৈরি করতে হবে।
স্পন্সরশীপ- এর জন্য আবেদন করার সময় নিজস্ব বিশ্বাস ও ট্রিপের ব্যয় বাহূল্যও কথা ভুলে যেতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা ট্্িরপ পানিং প্রক্রিয়ায় একজন স্পন্সরের কাছে ব্যয় বিষয়ক ইস্যূটি সম্পূর্ণ অপ্রাসাংগিক। পৃষ্ঠপোষকতার স্বার্থে ট্্িরপটি কার্যকর করার বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে । শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্পন্সরকে আকৃষ্ট করার স্বার্থে তাদের চাহিদা কি তা খুজেঁ বের করার পাশাপাশি চুক্তির প্র¯া—বনা তৈরি করতে হবে ও পুরো প্রজেক্টটি বাস্তবায়নের পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। ফ্্িরল্যান্স সাংবাদিকরা ভালো প্রস্তাবনা উপস্থাপন করতে পারলে স্পন্সরের কাছ থেকে বড় ধরনের আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া অসম্ভব কিছূ নয়। সঠিকভাবে এই ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হলে নিজের ইচ্ছেমত পছন্দসই ট্্িরপ স্পন্সরের কাছেও গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে। এ পদ্ধতিতে কাজ করলে উভয়পক্ষই লাভবান হবে। মূল্যবান পৃষ্ঠপোষকতা নিরবিচ্ছিন্ন ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্্য্্রাভেল জার্নালিষ্টকে নিত্যনতুন আর্কষনীয় আইডিয়া উদ্ভাবক হতে হবে যা উভয়পক্ষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাবে সাম্ভাব্য পারস্পরিক স্বার্থে।এভাবে স্বতন্ত্র চিন্তাবিদ ও মার্কেটার হিসাবে একজন ফিল্যান্স ট্্রাভেল জার্নালিষ্ট – এর অবদান তার অনন মানসম্পন্ন লেখা ও ছবির সাথে সাথে মূল্যায়িত হতে শুরু হবে এবং স্পন্সরাও উৎসাহিত হয়ে উঠবে টাকা বিনিয়োগের জন্য। মার্কেটিং: একজন বড় মাপের লেখক বা ফটোগ্রাফার হয়েও বেশিদূর যেতে পারবেন না যদি নিজের কাজের যথাযথ ও সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে ব্যর্থ হন। অর্থাৎ ভালো লেখক ও ফটোগ্রাফার হওয়া সত্ত্বেও যদি সুষ্ঠুভাবে মার্কের্টি ং করা না যায় তবে একজন ট্্র্যাভেল জার্নালিষ্টের কাজের কোন মূল্যই থাকবে না। মার্কেটিংকে কোন বিরক্তিকর কাজ হিসাবে গণ্য করা ঠিক নয়। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অধিক কার্যকর ও একই সােেথ বহুবিধ উদ্ভাবনী চিন্তা ও লেখার সমন্বয় ঘটিয়ে একে আরো উপভোগ্য ও প্রাণবন্ত করে তোলা সম্ভব। নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। চলতি লেখার প্যাকেজ ও আর্কাইভের লেখা সমূহ বার বার পড়তে হবে। যেসব লেখা প্রচারের বাইরে রয়ে গেছে সেগুলি বিদেশে অধিকমাত্রায় বিক্রয়ের জন্য প্রয়াস নিতে হবে। সূত্র : বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অন্তরায় এবং উওরণ – মো: জামিউল আহমেদ জামিল